অগ্রদৃষ্টি ডেস্কঃ বাংলাদেশের টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রণ বা বিটিআরসি বলছে সিম রেজিস্ট্রেশনের ক্ষেত্রে গ্রাহকদেরও সচেতন হতে হবে।
কয়েকদিন আগে চট্টগ্রামের একটি এলাকায় ১৫৭টি সিম জালিয়াতির অভিযোগে পুলিশ কয়েকজনকে আটক করেছে। পুলিশ যদিও জানিয়েছে বায়োমেট্রিক পদ্ধতিতে রেজিস্ট্রেশন করা সিমের ক্ষেত্রে এই জালিয়াতি হয়েছে।
কিন্তু চট্টগ্রামে সিম জালিয়াতির পর এনিয়ে অনেকের মাঝে যে উদ্বেগ তৈরী হয়েছে সে নিয়ে বিটিআরসি কী বলছে?
বিটিআরসি’র একজন পরিচালক বিগ্রেডিয়ার জেনারেল এমদাদুল বারী বিবিসিকে বলছিলেন চট্টগ্রামে একজন মহিলা গ্রাহকের সিম বায়োমেট্রিক পদ্ধতিতে রেজিস্ট্রেশন করা ছিলনা এবং তাই রিটেইলারের পক্ষে বুঝা সম্ভব ছিলনা।
কিন্তু এটাতো একটা সিম জালিয়াতির কথা- যে ১৫৭টি সিম জালিয়াতি হয়েছে তার সবগুলোই কি অনিবন্ধিত ছিল?
এমদাদুল বারীর মতে এগুলো নিবন্ধিত থাকার কথা নয়, তবে পুরো বিষয়টি আরও তদন্ত করে দেখতে হবে বলে জানান এমদাদুল বারী।
মি: বারী বলছেন নিবন্ধিত সিম যদি থাকতো তাহলে রিপ্লেসমেন্টের সময় তাকে প্রমাণ দিতে হতো যে ওই ব্যক্তিরই সিম সেটি।
তবে অনেক ক্ষেত্রে অসাধু রিটেইলারের কারণে জালিয়াতি সম্ভব বলে জানান তিনি। এমনকি কয়েক জায়গা থেকে কয়েকটি অভিযোগও পেয়েছেন বলে জানান বিটিআরসির এই কর্মকর্তা।
এমদাদুল বারী বলছেন “অনেক সময় গ্রাহক খেয়াল করছেননা যে রিটেইলার আঙ্গুলের ছাপ মিলছেননা বলে বারবার তাকে বলছে এবং দু-তিনবার আঙ্গুলের ছাপ নিয়ে নিচ্ছে। যতবার দিবেন ততবার হয়তো রিটেইলার আলাদা আলাদা নাম্বার ওই গ্রাহকের নামে রেজিস্ট্রি করে নিলেন-এভাবে জালিয়াতি করা সম্ভব”।
সুতরাং এক্ষেত্রে গ্রাহকের সচেতনতা জরুরী বলে মনে করে বিটিআরসি।
এমদাদুল বারী বলছেন “তবে ৩১শে মে’র পর যখন থেকে অনিবন্ধিত সব সিম বন্ধ হয়ে করে দেয়া হবে তখন গ্রাহকদের জন্য একটা সুযোগ তৈরি করা হবে, যদি কোন গ্রাহক তাঁর নামে কয়টি সিম রেজিস্ট্রেশন করা আছে সে বিষয়ে জানতে চান জানতে পারবেন। আর গ্রাহক যদি মনে করেন তাঁর নামে বেশি সিম রেজিস্ট্রি করা তাহলে তাঁর এনআইডি নিয়ে কাস্টমার কেয়ারে আসলে তিনি সেটার সমাধান করতে পারবেন”।
“একটা সিস্টেম যতই শক্ত হোক তার ফাঁক-ফোকর থাকতেই পারে, সেজন্য গ্রাহককে সচেতন হতে হবে”-বলে মি: বারী।
বায়োমেট্রিক পদ্ধতিতে সিম জালিয়াতির ক্ষেত্রে অভিযোগ জানাতে গতকাল বিটিআরসি একটি শর্টকোড চালু করেছে।
যেখানে গ্রাহক তাদের অভিযোগ জানাতে পারবে।